Saturday 27 January 2018

অর্ণব সাহা




নীচু গিলোটিন

নিয়তি এক কুলি-কামিন, নিয়তি হেমব্রম,
তার ছায়ায় সারা দুপুর হাড়িয়া খেয়েছিলাম
#
ব্রেসিয়ারের বালাই নেই, শাড়িতে টানটান
চুলের জটা পতঞ্জলি, ঝোড়ো কাকের বাসা
#
উড়িয়ে নেবে দিগ্বিদিক টিনের চালাঘরে
বিষ-মেশানো দুধের বাটি তামাটে বিকেলের
#
আলোয় তার মুখের উপর গড়িয়ে পড়া রোদে
আমার মৃত্যু ব্রিজের মাথায় ঝলসে উঠেছিল
#
কবে? কোথায়? ধুলোয় ভরা কোন্‌ ক্যালেন্ডারে
সে এক মৃত তারিখ হয়ে এখনও বেঁচে আছে!
#
মাথায় ঘোরে প্রপেলারের স্মৃতিকাতর হাওয়া
ঘামের ভিতর বিষাক্ত নুন, ঠোঁটের উপর ঠোঁট!


জলের ভিতরে নৌকো এঁকেবেঁকে চলে
অনর্গল রাত্রিদিন গল্পকথা বলে
#
গল্পের ভিতরে ফাটা ত্রিপলের ছই
পাটাতন সরে গেলে জল ঢুকে পড়ে
#
মাঝিমাল্লা বিড়ি টানে নৌকোর কিনারে
মাঝিমাল্লা রেডিওয় কৃষিকথা শোনে
#
সেই গল্প রটে যায় জাহাজঘাটায়
রেলিং-এর ধারে ধারে উৎসুক জনতা
#
গল্প জমানো চিঠি, ভাঁজ খুলে নিলে
হাত ফস্কে পড়ে যায় নির্জন লেফাফা
#
মলিন খামের ভাঁজে কান্না, হাত রাখা
আদরের নৌকো নোনতা জলে ডুবে যায়

1 comment:

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ। কেউ বা ভাজছে গরম তেলে। খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে। চর্মরোগের অব...