Friday 26 January 2018

ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী



 শ্বাসরোধ পর্ব











(দ্বিতীয় পর্ব)


()

যেটা তুমি জান - তা
জন্মলগ্ন সংক্রান্ত সত্য, ভাস্কর,
নক্ষত্র মৃত্যু  শ্রমণকালে, শিকড় ছাড়িয়ে দেখেছি কি সুখ !
কি জীবন মুহূর্ত উথলে উথলে উঠে আসে!
সাধ্যমত ধাক্কা দিই - এই গাঢ় পেটে
সভ্যতার সত্যের উনিশ-বিশ



()

নিজেকে যেটুকু শূন্যে বসাই
সেখান থেকে হয়তো লিখে ফেলা যেত-
মায়ের মৃত্যু কালে-শুধু একটি শব্দ- 'বাবু'
তারপর,
কি তুমি খালি করে গেলে
শব্দ সুনামির পর শ্বাসরোধ কালে
পর্যাপ্ত ফুল দিই ছায়ায়, ঘন, শীতলতায়
এগিয়ে চলা সদ্য সমাপ্ত প্রতিশ্রুতির মত


 ()

মুহূর্ত নিত্য হোত,-
সময় থেকে জেগে থাকায়;
তোমার, আমার অপরিমিত
আসবাবের মধ্যে
কত কথাই না বলেছিলাম
মুহূর্তকালে- অর্থহীন
ভালোবাসার না ছায়া
স্বপ্নের মত, পার্শ্বচরিত্রে, দাঁড়িয়ে রয়েছে
একান্ত মৃত্যুর পর জড়িয়ে আছে
যে অপরিসীম ছবি
না কথার মধ্যে, খুঁজে নিচ্ছি তাকে
একটু একটু করে


()

জানিনা কি সুখ পাস এই শরীরে,
বেগবান এই শব্দ ধরে
জেগে থাকায়
কি স্বপ্নপ্রতিশ্রুতির মত
ঝরে পড়ে স্মভাবনাময়
প্রতিটি শিরায়, হৃদয়বন্ধ কালে
তার নিজস্ব চলা, তার জন্ম দুপুর,
তার একটানা দৃষ্টির ভিতর

 ()

এই যে তোমার থেকে এসেছিলাম,
সম্পূর্ণটা এখনও জানিনা-
নিক্তি দিয়ে মেপে নেওয়া কষ্ট
বস্তু, প্রতিবস্তু, একটি টেবিল, বরং একটি চেয়ার;
আসবাব সন্নিবেশ ঘিরে ধরছে 
           শুধু একটা শোক কথা নয়, স্থবিরতা নয়,
পুরানো না জানার থেকে টেনে নেওয়া
অবিরাম অপরিমিত সামগ্রী

()

গল্পের আঙিনায়
ছুঁয়ে আছি তোমায়- অধর অস্বস্তি সূচিত,বয়ান অন্তিমে
পুরানো আসবাব কায়দায়
এড়িয়ে গেছি তা,
পথ চলতি হোঁচটগুলি মুছে গেছে
বা  মুছে দেওয়া যায়
ভাঙা বাক্যের কাঁচের ধারে

()

এক এক পৃথিবী সব নেমে গেছে
এই ভাঙন সক্রান্তে
অবিশ্বাসী রূপান্তর ঘটে গেছে তোমার আমার
খাদের ধারে নিয়ে যেতে চাই,
ডেকে দিতে চাই প্রতীক্ষার অক্ষর-
ছায়াশীতল, ঝকঝকে দুপুরগুলি
দুপুরগুলির সাথে উড়ে যাবে
সোঁ সোঁ শব্দে
সেই সব বন্দরে
যেখানে তোমার, আমার আর সবার অসুখ

()

অসুখের নাম তীব্র;
ঘরে ঘরে ভেসে বেড়াচ্ছে ছবি, যে
তোমার কাছে নতজানু
সে জানে বনে চলে গিয়েছে তার
এক দীর্ঘ বনবাস
    আর যেটুকু মাঝে মাঝে
থমকে যাওয়ায় যোগসূত্র,
সেখানে ভিড় করেছে অনেককিছু
     তবে  তাদের একটু বৃষ্টি দিও
আজ এই জল বাদলার দিনে



()

আদি মাটির আঙিনায়
আলপনা দেখব বলে
আমি যে বেড়িয়ে পড়েছি;
পায়ের শব্দে শুনিয়েছি পূর্বাভাস,
             সে পথে ফেরা নেই
প্রান্তিক পর্বে দাঁড়িয়ে দেখতে হয়
নক্ষত্রের রাত্রি বন্দরে জাহাজ আসবে
নাবিক আজান শুনলে, সমুদ্র দিও
দিয়ো পাড় ভাঙা উচ্ছ্বাসে চড়ুইভাতি




(১০)

ঝড় নামের আগে থাকে
যুদ্ধ বিরতি স্মৃতি
সোমালিয়া থেকে ভিয়েতনাম
হাঁ শিশুমুখ
নাম গন্ধে অখ্যাত, সে দুঃখ হয়না
অথচ যেটুকু বাড়ে, সেটুকু বেড়ে চলে-
দরিদ্র খামার বাড়ি থেকে
আজন্ম শস্য ক্ষেত


No comments:

Post a Comment

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ। কেউ বা ভাজছে গরম তেলে। খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে। চর্মরোগের অব...