Saturday 27 January 2018

পম্পা দেব

 কবিতাগুচ্ছ    




ক্যালিগ্রাফি

সখাজন্ম ফিরে আসে। পুরনো গলির মুখে, 
নিশ্চিন্ত গল্পের গানে। ফিরে আসে বাস্তুসাপ
সরল বাঁশীর সুখে,আমাদের কথোপকথনে ।
ভীষন কলহপ্রবনতা; তাহার অনতিদূরে 
মহামান্য ফুটপাথ। হাতছানি! ভীরু বাচালতা  
সন্ধ্যের আউট্রামে ধীর ধীর জলস্রোতে , 
শত উল্লাস জাগানিয়া ।আমরা হেঁটেছি পথ।
আমরা ধরেছি গান- কত সহজিয়া মরমিয়া ।
বিকেল শব্দের শেষে, কফির পেয়ালা থাক ।
সন্দেহ শব্দ অনভ্যাসে। নতুন লেখার ঘ্রাণ ,
ভ্রমণ কাহিনী পাক ,হৃদি দৌর্বল্যের দিনে পাশে। 


                                           
 ধূলোখেলা   

 লাস্ট ট্রেন ছেড়ে যাওয়া প্ল্যাটফর্ম জানে 
বিচ্ছেদের মানে । রেডিওতে বেজে ওঠা
হঠাৎই প্রতিমার গলা ,সিঁড়ি বেয়ে আসা 
স্মৃতির অপেক্ষার চলা, ফের কোনও 
অজানা শহরতলী, ছুটির ঘন্টা বেজে 
এভাবেও মন চলি ..কাঁহা চলির রেশ 
রেখে দেওয়া হিসেবে যত দ্রুত কেটেছিল 
পাশাপাশি, যুগলে যুগলে ,ছায়াজন্মের 
 মতো কতকিছু ধূলোখেলা । দোতারা জীবনে ।

                                                              
ছায়াজন্ম 

যে জীবন সাধের দোতারা, 
তুমি তার কাঙাল হরিনাথ ।
তুমি তার  শূন্যের অনন্ত 
পথের দেবতা যে ছায়া ।
সে  পৃথিবী  আলোকবর্ষ, 
তুমি জন্ম জন্ম আসা যাওয়া

                                        
 মায়া

প্রতিটি উৎসব শেষে 
নিভে আসা আলো, 
ডাকের সাজ, খুলে 
ফেলা ম্যারাপের দড়ি
জানে ।নশ্বর জীবনের মানে।
                                     
  চক্র 

দেবীর একান্ন পীঠ 
কুমোরের চাক ভেঙে উড়ে যায়।
পৃথিবীর আদিম শরীর , 
 হাওয়া আর জল-
 দেয় অনন্ত যাপন। প্রাচীন 
আয়নায় সে শুধু সমকাল বদলায়।

No comments:

Post a Comment

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ। কেউ বা ভাজছে গরম তেলে। খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে। চর্মরোগের অব...