Saturday 27 January 2018

সন্দীপন চক্রবর্তী










ভূত হয়ে, ভগবান হয়ে



পাথর ভাঙতে গিয়ে ভেঙে ফেলি বারবার সযত্ন বাগান 
টেরোড্যাকটিল ওড়ে -- সেইসব অন্ধকার পাখিদের দাঁত 
মর্ম ফুঁড়ে ঢুকে যায় মগজের ধূসর অঞ্চলে -- 
সেখানে মেঘের পর মেঘে জমা রক্তপাত ফাটিয়ে সূর্যাস্ত 
টলে পড়ে দিগন্তের ভাঙাচোরা জলে -- 
সেই শব্দ সেইসব বিপন্ন জ্যামিতি 
স্পর্শ করে যাকে একবার
ঘুম আসে না আর তার, সারারাত পায়চারি করে 
বালিশে হেলান দিয়ে বসে থাকে, বেডল্যাম্প জ্বালে নেভায় 
আমোদে আহ্লাদে ভরা সহর্ষ ভয়াবহতায় 
সে তার নিজস্ব এক অবতল রচনায় ঝুঁকে পড়ে, ভাবে -- 
কিছুই মরে না; সবই ভাষার ভিতরে থাকে ভূত হয়ে, ভগবান হয়ে 
সে জানে -- সম্ভাবনা থেকে যায়; তাকে মারা যায় না কখনো

তাহলে কি ভাষা এক মোহমুদ্রা, যার কাজ
জ্বলন্ত স্টোভের মধ্যে মাথাটা ঢুকিয়ে ফের বের করে আনা? 
তাহলে কি ভাষা এক জাদুকর, যার 
ঠোঁটে কষ, সারা মুখ ব্লেড দিয়ে চেরা? 
ফিরে যেতে চেয়ে তবু সহজ হবে না যার ফেরা 
সহজ হবে না যার সামান্য একটা-দুটো কারুভাঁজ, কথা  

নীরবতা ধ্বনি চায়, ধ্বনিও চেয়েছে নীরবতা
শেষ বিকেলের সেই নিভে আসা অর্থহীন আলো মেখে দেখি 
পড়ে আছে ছাদ!


দৃশ্য বা দ্রষ্টা না; থেকে যায় শুধু দৃষ্টিপাত

No comments:

Post a Comment

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ। কেউ বা ভাজছে গরম তেলে। খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে। চর্মরোগের অব...