অপেক্ষা
দেয়াল থেকে নেমে এলো “অপেক্ষা”
হাত নেই পা নেই বুকের উপর ভর ক’রে
এক সরিসৃপ নিজের শরীর কামড়াতে কামড়াতে
হয়তো এখানে বসবে চুলার পাশে
গরম ভাতের ভাঁপে ক্ষুধা পাবে
ভুলে যাবে খড়কুটো
কখন যে ছাই হয়ে ভরিয়ে দিচ্ছে চুলার পেট
হয়তো নদীর তীরে বাতাসে
বদলে নেবে পোশাক
ডুবে যাওয়া নিখোঁজ মানুষের নামে
ফিরে যাবে স্বজনের কাছে
স্বজন বলে কেউ কি আছে
মৃতের খোলস আগলে
নাচে আসরে
নদীর তীরে
অলস সন্ধ্যায় বিকলাঙ্গ এ নদীর পাড়ে
ফ্রেম থেকে বের হয়ে আসে কয়েকটি চঞ্চল কুকুর
অবিরাম লেজ নাড়ে, একি প্রজননকাল
উজিয়ে উঠেছে সব মাছ মেঘের গর্জনে
বৃষ্টি নেই, তবু বৃষ্টির প্রস্তুতি মনে মনে সাজিয়ে
ঘর থেকে বাহিরে দরাদরি আর অনুতাপ মোচন হলে
ছোট ছোট পায়ের মুহূর্তজীবন অকারণে নেচে ওঠে
মন্থর জলের উপর চঞ্চল পোনার লেজে
মেঘের উপত্যকা বেয়ে নেমে আসে শিশু এক
নদীর পাড়ে; সারা শরীর তার সাদা ব্যান্ডেজে মোড়ানো
সন্ধ্যার সমস্ত খবর ভেদ করে একে একে নেমে আসে
ব্যান্ডেজে মোড়ানো শিশুরা; ছোটাছুটি করে নদীর তীরে
ভস্ম হওয়ার আগে
আকাশে উড়ছে তোমার বাসি কম্বল
শীতের দেশে কায়ক্লেশে মানুষগুলো
পা থেকে হড়কে যাচ্ছে পা, হাত থেকে হাত
পথের কিনারে যারা কাটামুÐz রোজ
তুলে দেয় থলেতে তাদের একজন
বলল, ফুরিয়ে গেছে শহরের আয়ু
যা কিছু বলি আজ করুণ কোলাহল
বাক্য থেকে খসে পড়ে, তোমার পায়ের
কাছে আয়ু খোঁজে ভস্ম হওয়ার আগে
বৃদ্ধের দেশে
কে আমাকে ক্লান্ত করল
এই শীতের সন্ধ্যায়
কে আমাকে আনল এখানে
শীর্ণকায় বৃদ্ধের দেশে
দিনের প্রশস্ত আলো
নিভে এলো মোজার ভেতর
তারপর অন্ধ শহর অন্ধ সড়ক
অন্ধ জীবনযাপন শেষে
কখনোই ফেরা হবে না তোমার কাছে
তুমি অরণ্যের ভেতর আগলে আছ সমস্ত কোলাহল
ভালো লাগলো পড়ে সাইদুল ভাই।
ReplyDelete