Friday 26 January 2018

বিকাশকুমার সরকার







নোটিস

আমার নেপথ্যে কোনও শরীর নেই
চেনা ছন্দে তাও লিখছি বাৎস্যায়নের ভুল সূত্র
যেহেতু এখনও অধরা তোমার কাছে উপভোগ কলা
মেলে ধরতে মিলনে আমি অপারগ
ভুলে থাকি; চেনা আগুন নেভে না জলে
প্রাণ আছে জানি তবু মানুষ আবিষ্কারের সেই ইচ্ছে
নিজের দিকে নজর না দিয়ে হতে চাই রহস্যগামী
ফলত নিরুপায় হয়ে আইনত উপেক্ষা করছি তোমাকে
যখন অপরিচয়ের স্বাদ দিচ্ছে নতুন গন্ধবোধ।
তুমি তখন বলতেই পারো মুখনিচু মনোভাব একটা রোগ
শুশ্রূষার অজুহাত লম্বা করে শুধু পেতে চাইছি সেবা
অলিক উপচারে তবু ভরে আছে আমার আশপাশ
শিরার সুড়ঙ্গে এখনও অটুট খরস্রোতা রঙিন জল
যার ভেতরে জন্মজন্মান্তরের পতিপত্তি আর হিংস্র প্রভাব
কোনও নেপথ্যচারীর পক্ষে অসম্ভব নেওয়া এসমস্ত ভার
বহনে হাঁপিয়ে ওঠার ভয় থেকে তাই ভোগের আগেই আমিও করছি ত্যাগ
ইশারার উপলক্ষ্য হয়ে যখন বুঝেছি দায়িত্ব পালন করাই কেবল কাজ
যাতে মনে না রাখার জন্য অভিশাপ দিতে না পারে আমাকে কেউ

যদিও বুকের ভেতর পুষছি তার দেওয়া বহুমাত্রিক বিরহ


স্বগতোক্তি

প্রকৃতির প্রয়োজনে জখম আমার উৎসমুখ
অনর্গল জেগে থাকা স্বাভাবিক তার কাছে, ঘুম
নিঃশেষ ভয়ে কাতর নিজেকে তবু প্রমান করেই ছাড়ল
শুভযাত্রায় বেরনো সমস্ত পথের সেই একমাত্র আশ্রয়

আশানুরূপ এমন চিন্তায় অস্থির ভ্রূণ—
আজীবন ভাবল শিরোপা গুরুত্বহীন অন্ধ
তবু উপলক্ষ আমি নিঃশব্দ পাইপে ঢেলে দিচ্ছি নিরুপায় কালো হাসি
স্বার্থক সৃষ্টির মর্মোদ্ধারে

এভাবে দিয়েই যাচ্ছি একের পর একা পরীক্ষা
ফলত আহরণের ভাষা বলতে বুঝেছি বুকের নিবিড় ক্ষত—
বাস্তব ভাবনায় জিইয়ে রেখে নৈতিক সংক্রমণের রহস্য
আহত সাধারণের মতো দেখি এইসব সরীসৃপ স্বপ্ন
সৈকতে আছড়ে পড়লে যাকে তুমি বল প্রতিবাদী ঢেউ...

তারপরও নির্বিকার সৌরফল
খোসার পরবর্তী খাপে লুকিয়ে রাখছে এমন বাৎসল্য রস!


(কবি বিকাশকুমার সরকার আমাদের কাছে এই কবিতাগুলি পাঠিয়েছিলেন। এর আগের সংখ্যায় আমরা তাঁর সবকটি কবিতা একসঙ্গে প্রকাশ করতে পারিনি। তাঁকে আমাদের শ্রদ্ধা জানাই। তিনি আসলে কোথাও যান নি। এই কবিতাগুলির মধ্যেই আছেন। থাকবেন।)





No comments:

Post a Comment

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ। কেউ বা ভাজছে গরম তেলে। খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে। চর্মরোগের অব...