Friday 26 January 2018

দিদার মালেকী



















গুচ্ছ কবিতা

দেখি না অবগাহন

তোমাকে চিনি না আমি আমাকেও চেনো না তেমন
অথচ আমাদের কথা হয় চা হয় বিড়ি ফুঁকি আধাআধি
এরপর বিদায় নিয়ে যার যার বাড়ি ফিরি উত্তর-দক্ষিণে
আমার বাড়ির পথে অতিকায় জারুল তার অতিশীতলঘ্রাণ
তোমার কথা ভাবি ফেরার পথে তোমাকে চিনি না আমি
ভাবি তোমার হারমোনিয়ামের রঙ আর তার রীডগুলি
কেমন মোলায়েম যখন আঙুল তোমার তাদের শরীরে
ফের ভাবি আমারও আঙুল আছে তুমিও রীডের সমাহার
কিন্তু কেউ কাউকে বাজানোর কথা প্রকাশ্যে বলিনি
তুমিও তেমন ভাবো হয়তো অনেক রাতে যখন একাকী
আমাকে না হোক আর কারওর লোমশ অরন্যের গান
গাইতে থাকো তুমি সেসব জানি যেভাবে জলের স্রোত
জেনে নেয় কোন অদূরে পৌঁছলে প্রথম ধাক্কাটি সে খাবে
কিংবা আছড়ে পড়বে ঢলে ছোট কোনও নদীর শীর্ণা শরীরে
আমি কি এমন নাকি সেকথা কখনও একান্তমনে ভাবিনি
তারপরও আমাদের কথা হয় যখন ঘুমোয় ছাড়া ছাড়া মানুষ
উভয়ে স্নানে যাই যদিও দেখতে পাই না কেউ কারও অবগাহন

আংটিময়ীতা

আংটি ছিলো কিনা তার হাতে সত্যি মনে নেই আর
সে মানে যার সংগে 'দিনই প্রথম দেখা হলো রাস্তায়
পথে ফিরে যেতে যেতে উঁকি মেরেছিল সংগে ইশারা
খানিক দ্রুত হেঁটে ছুঁয়ে যায় তাকে এবং এগোয় অধিক
দুরে গিয়ে পিছমুখ দেখি আদতে সে ডেকেছিলো কিনা
আর কোনও রা নেই সেইই তো আঙুল দু'খানা নেড়ে
যে ভাষায় বোঝালো 'যেতে পারো যদি পারো যেতে'
দুরে যে চায়ের দোকানি সেও তো চুতিয়া চতুর বড়ো
কেমন আড়চোখে চেয়ে নিজে চেটে নিলো নিজের জিভ
কি করে মনে থাকে অমন আঙুলের ভাঁজে আংটি ছিলো
কোনও পুরুষের দেয়া উপহার নাকি নিজের শখের কেনা
জানি তো না কিছু তবু যে হাত তার সাত তাড়াতাড়ি নেড়ে
ডেকে চলে গেলো সেই যে গলিতে যেখানে কখনও আগে
আসিনি আমিও চায়ের দোকানিও এমনকি আংটিওয়ালিও
থাক তার কথা কেননা মাথায় ঘুরছে আংটিময়ীতার ব্যথা

একটি আগন্তুক রাত্রি

তার হাতে দিয়ে পরিনতিহীন কোনও লেখা
আমি ধরাতে যায় রাতের শেষটুকু বিড়ি
সে মানে আমার সংগে যে বাড়ি ঢুকেছে
এখনও জানিনি ঠিকঠাক ঠিকুজি কোথায়
এমনকি নারী কি পুরুষ নাকি দুয়েরই সমাহার
ধারণ করেছে দেহমনে পরখও তো করিনি
তবে কি বন্ধুগণ আমি সেই সে তারক নই?
যে কিনা মাঝরাতে আগুন বারুদ বিষয়ক
মাংস মশলা বিষয়ক কিংবা নারী শহর
নিয়ে সমস্ত কৌতুক বাজারে ফুরিয়ে এসেছি?
অথবা কোনও গুপ্তহত্যার খবর জেনে এসে
লিখতে চেয়েছি দুখের অথচ সুড়সুড়ে খবর!
কিন্তু ধরিয়েছি বিড়ি আর তার হাতে সে লেখা

তাহলে আমি কে সেই-বা কে আমার বাড়িতে?

2 comments:

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ। কেউ বা ভাজছে গরম তেলে। খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে। চর্মরোগের অব...