Friday 26 January 2018

পৃথা রায় চৌধুরী



গুচ্ছ কবিতা



বাদীপক্ষ

নাহয় কিছু পাখপাখালি সরে যায় যোজন
ঈর্ষার ফুলকি পেছনে হেঁটে যেতে বাধ্য,
চেয়ে চেয়ে নিষ্ফল...


দেওয়াল তোলার ব্যর্থ হাঁফ
নখের সাজেও রাগ দেখাবো,
প্রতিবারের মতো দেরির মুখে বসিয়ে দেবো
আগুন ঠোঁট


সেই কতো যুগের পরে
জলাজমিখন্দর হাতছানিতে
জানলা বসিয়ে নিও, চোখ...


তোমার জ্বোরো শত্রুতাকে
তোমার গেয়ে ওঠাকে জেনেছি
কথা না রাখার নামান্তর


অগুনতি ঋতুর শেষে
কথার মালিকানা বদল...




বর্বর


নির্ঘুমের দেশে রেখে যেতে ভালো লাগে যখন,
লাগাতার তর্জন তোমার একমুখী হয়ে যায়
থাকে হিংস্র কোমলতা


তুমি দেশ ভাবো...
ভাবো অযুত নিযুত ধানের কথা
ভাবো বারুদ...
ভাবো রক্তমুখী নীলা


বিচারকাঁটা ঝুঁকে কুর্ণিশ,
ঠিক কবে কতটা মোড় ঘুরে মেঘজল?


সম্পর্কের যাহোক নাম দিয়েছো,
মাহাত্ম্যে বেড়ে চলেছে...
আগুন আগুন শান্তি!


সত্ত্ব


ঠিক যেখানে ছুঁয়ে যাও,
সেখানে কবর দিই চাপা দমবন্ধ


কখনো সমুদ্র মন্থনে ব্যস্ত হতে হতে
অতীতের নখ কুড়িয়ে আঁচড় বোলাও
তোমার মালিকানার জমিতে


জমি আলবিহীন ভাগ করেছে ফলক
মালিকানায় লেখা থাকে স্নানঘরের ঝর্ণাচলন
অশ্লীলতা ভাবতেই পারে কপালভাঁজেরা


দায় দাসখত পুড়ে গেলে
সমস্ত বৃষ্টি ঝেঁপে আসে মরুদুপুর জুড়ে
নাম জেনেও নাম খোঁজার বিলাসে


অপেক্ষায় শস্যস্নান...


2 comments:

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ। কেউ বা ভাজছে গরম তেলে। খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে। চর্মরোগের অব...