Saturday 27 January 2018

মিহির বন্দ্যোপাধ্যায়






ডুব দে- রে মন

জানিস হয়তো তুই তবুও বলছি শোন-
সহ্যের উত্তরে কালো জল ভাঙা ঘাটে কথারা থমকে ছিল
রৌদ্রস্নান শেষে ছায়া ছায়া আকাঙ্খায় গলাজল পার হয়ে
ডুবুরিরা নেমেছিল পোশাক ছাড়াই
ঝাঁঝি আর ইশারার ঢেউ ,কোথায় তোদের গাঁ
একবুক অপেক্ষায় জেগে আছে কতটা অতল
কতদূর ভেসে এলে এমন নিপাট ডুব দেওয়া যায়

জলে ভাসছ পদ্মপাতার মতো
তোমার ওপরে পোটলাপুটলি দিনাতিপাত
হাওয়ায় দুলছে বিষ-ভারে পদ্মগোখরো
আজ শুধু জলাশয় জুড়ে কেউ ডেকে যাচ্ছে- চইচই
যেন তোমাকেই ঘিরে  ফিরে যাচ্ছে  বিপন্নতা
র এসবের বিপরীতে পাতিহাঁস অলস সাঁতার

এইবার উঠে যেতে হবে আমার সঙ্গে তোমাকেও হেলেসাপ
ওই দেখ নেমে আসছে পাওয়ার হাউসের কালো-ছাই
তেচোখা আর গেঁড়ি-গুগলিরা পোঁটলাপুটলি বেঁধে ফেলো
যেতে হবে, ছেড়ে দিতে হবে ছায়ামাখা জলাভূমি
পুঁটি, ও আমার সরপুঁটি কচুরিপানার নিচে নিজাকে ডুবিয়ে রাখ
এমন সরল তুই এমন অরূপ রুপোলি মা-গো
জানিস না বাবুদের জাল কোনদিক থেকে নেমে আসে


No comments:

Post a Comment

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ। কেউ বা ভাজছে গরম তেলে। খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে। চর্মরোগের অব...