আমার
সুসমাচার
১.
মানুষের মুখ দেখে মনে হল,
হয়তো সে কিছুই জানে না। অন্যথায়,
মলিন সন্ধ্যার নীচে, হাঁপানির টান
এবং কাশির ঝোঁক কোনোমতে চেপে
সে কেন বাজারে আসবে?
সে কেন আমার থেকে সিগারেট চেয়ে,
লাজুক হাসির সঙ্গে অশান্তির ছায়া
ফেলে রেখে চলে যাবে? একদিন
হয়তো হঠাৎ শুনব,
তার নামে হুলিয়া রয়েছে। হয়তো সে
হত্যাকারী, অথবা নিজেই
নিজের ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে
মরে গেছে কবে!
তবু সেই সান্ধ্য-অচেনাটুকু,
স্মৃতির ভেতরে
রয়ে যাবে। মনে পড়বে তার
রক্তের চেয়েও লাল জামাটির কথা,
বাজারের থলি হাতে, কীভাবে সে,
সামনে সামান্য ঝুঁকে, চলে গিয়েছিল
২.
যখনই তোমার কথা, তোমাদের
অসুস্থ প্রলাপ শুনে, ক্রমাগত, রাগে
ফেটে পড়ি, যন্ত্রণায়, ভেতরে-ভেতরে
তুলকালাম ঘটে যায়—মনে হয়,
আসলে তা ক্রোধ নয়, ক্ষোভও নয়,
নাটকের মাঝখানে
স্মৃতিভ্রষ্ট নটের বেদনা
অথবা, উঠতে-বসতে,
ঠারেঠোরে,
নিজেকেই বলা—
যে-ছায়া আমার সঙ্গে সারাদিন ঘোরে
(হুবহু তোমার মতো, অবিকল
আকারে-প্রকারে), তা কিন্তু আমার নয়
ভুল করে, জন্মসূত্রে, পেয়েছি কেবল
৩.
আশা নাকি, বাস্তবিক, মরেও মরে না—
ভোরের লোকাল ধরে, ছেলে-কাঁখে,
প্রত্যহ শহরে আসে। পড়ন্ত বিকেলে
পুনরায় ট্রেনে চেপে ফিরে যায়
শুনেছি করুণাসিন্ধু, তার বর,
গান গেয়ে ভিক্ষে করে,
ক্যানিং-স্টেশনে
৪.
আসলে, ধ্বংস একটা শাদা পাতা,
আমি তাকে বাসনায়, অক্ষরের সাজে
সাজিয়ে তুলেছি মাত্র। এভাবেই,
আরো কত জলময়, স্মৃতিময় গ্রহ
সম্ভব হয়েছে, ফের অন্ধকার ঢালে
গড়িয়ে নেমেছে তারা
দেখেছি, উত্তল এক দর্পণের গায়ে
তোমার বিচিত্র ছায়া—বাস্তবের চেয়ে
হয়তো কিছুটা খর্ব, কিছুদূর
সহনীয় আরো
৫.
সে বড় অদ্ভুত গল্প!বহুদিন আগে,
সমুদ্রের মাঝখানে কোনো এক
ভাঙাচোরা জাহাজের ডেক থেকে দেখে,
মাল্লাদের মনে হল—ওই বুঝি
রত্নদ্বীপ,
আরো দূরে, সকালের অপূর্ব আলোয়
অমন ঝলমল করছে
অথচ নিকটে যেতে, বোঝা গেল,
আসলে তা রত্ন নয়, কাচও নয়,
পাখির বিষ্ঠায় ঢাকা কয়েকটি পাথর
এর ফলে, কেউ কেউ, আছাড়ি-পিছাড়ি
জাহাজে আগুন দিতে ছুটে যায়,
কেউ কেউ, জলে ডুবে আত্মঘাতী
হতে চেয়েছিল। যদিও, প্রত্যেকে ছিল
সন্তরণে অতিশয় পটু
কাপ্তানের ঘর থেকে, শোনা গিয়েছিল
কখনও কান্নার শব্দ, কখনও-বা
হাড়-হিম
উন্মাদের হাসি
ditiyo o sesh ti amar beshi valo laglo..
ReplyDelete