Friday, 26 January 2018

মজনু শাহ







জেব্রাঋতু


স্বপ্নের পাতাল অব্দি তুমি যদি ঘুরে এসে থাকো
মনে করো শুরু হল জেব্রাঋতু, এমন নরক
কোথা পাবে আর, সখা, শব যত ঢাকা আছে পদ্মে।
একটি ভুবন চিল উড়ে উড়ে অন্তর্ধান করে
একটি সেগুন পাতা খসে পড়ে তোমার মাথায়;
লোকে জানে তুমি জড়বুদ্ধি বালকের মতো সুখী,
মর্মে উপলব্ধি নাই, হাসি আর ধ্রুপদী গাম্ভীর্যে
রয়েছ অটুট! শুধু, ললিপপ পেয়ে গেলে খুশি,
ওদিকে পৃথিবী ঘুরে আসে এক চক্কর বিদ্রূপ;
অবচেতনের পাপ ধীরে ধীরে রাঙায় রাত্রিকে।
তবু রাত্রি গল্পে ভরে, পদ্ম থেকে একটি শিশির
শবের অধরে ঝরে আর এই দৃশ্য মেঘলোকে
কিছু মায়া যুক্ত করে কিছু যায় ভুতচতুর্দশীর
মাল্যবান অন্ধকারে, কিছু রয় অপরূপ ভ্রমে



এই সুফি-রাস্তার ওপর


উড়াই নি ফুর্তির পায়রা। দুলি নি হ্যামকে। আমার জন্যে নয়
ক্ষীরকদম। শুধু হাউই ছুটে যাওয়া দেখি, আর, কাছে কাছে ঘুরছে
একটি মোরগফুল। দাঁড়ের ময়না বলে উঠল সহসা,'অনিশ্চিত!অনিশ্চিত!...


ডায়েরিতে টুকে রাখলাম সেই নির্দেশ, এই তোমার মুকুল-রাঙানো পৃথিবী
পার হও, ঘুম ঘুম যত শব্দার্থ, ছোট ছোট পদক্ষেপে পার হয়ে যাও

কখনো খুঁজি নি কোনো সংজ্ঞা। সন্ধ্যার ধূপছায়া ঝুঁকে আছে
এই সুফি-রাস্তার ওপর। আমি রক্ষা করে চলি নিচু কোনো সুর।
আরও অনন্ত কোনো পুস্তক আর অন্ধকারে প্রস্থান, যেখানে কবিতা
ও বাঘিনী। নোনা হাওয়া ক্রমে ক্ষইয়ে দিচ্ছে সমস্ত মুখরতা।

কোনো তত্ত্বনির্ণয় করি নি। শুধু কোনো ক্লাউন যখন গুটিয়ে নেয় তার
পেখম, তার ইশারার ছন্দ, চাবুক, ঝুড়িভর্তি ডুমুর বয়ে নিতে থাকি।
তার অর্ধউচ্চারিত পঙক্তিমালা আমারই, আমাতে বিলীন হতে দেই
তার মৃত্যুরঙিন অবয়ব।






No comments:

Post a Comment

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ। কেউ বা ভাজছে গরম তেলে। খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে। চর্মরোগের অব...